২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

জিপিএ-৫ না পাওয়ার অভিমানে স্কুল ছাত্রীর বিষপানে অাত্মহত্যার চেষ্টা।

মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী এক স্কুল ছাত্রী জিপিএ-৫ না পাওয়ার অভিমানে বিষপান করে অাত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে।

অাত্মহত্যার চেষ্টাকারী পিয়া মুনী ভাঁরশো উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ভাঁরশো গ্রামের অানোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে ।

কৃষক অানোয়ার হোসেন ও গৃহিণী রহিমা খাতুনের দুই সন্তান। এক ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে পিয়া মুনীই বড়। অভাবের সংসারে অনেক অাদরের সন্তান সে।

বাবা-মা অনেক কষ্ট করেই যোগান দিতো তার লেখাপড়ার খরচ।

একাধিক প্রাইভেট,কোচিংয়ের তো শেষ ছিলো না।

পরীক্ষা শেষে অনেকের কাছেই সে হয়তো বলে রেখেছিলো যে, সে অবশ্যই জিপিএ-৫ বা এ প্লাস পাবে।

বর্তমান সময়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষা যেমনই হোক না কেনো? সবাই এ প্লাসের অাশা করে । কিন্তু সে অাশায় গুঁড়েবালি।

তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারনি সে।

বড়ই অাফসোস এবং লজ্জার বিষয় ভেবে অাত্মহত্যা করার জন্য তরল কীটনাশক বিষ পান করে পিয়া।

টাকা খরচ করে লেখাপড়া করে অন্যান্য সহপাঠীদের সাথে প্রতিযোগীতায় হেরে যাওয়ায় রাগে,অভিমানে এ পথ বেছে নেয় সে।

পিয়া অাজ দুপরে তার পরীক্ষার রেজাল্টের খবর শুনে বিকেলের দিকে নিজ বাড়িতে বিষ পান করে অাত্মহত্যার চেষ্টা করে।

এরই একপর্যায়ে বিষয়টি তার মা এবং বাড়ির অন্যান্যরা টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে অাহতাবস্থায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন।

তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা স্বরুপ ওয়াশ করে দেয়া হয় ।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্তমানে তার শারিরিক অবস্থা অাসংখাজনক বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে ভাঁরশো উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ অাব্দুস সালামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করার কারনে তার কোনো মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রকাশিত: মাহবুব আলম জুয়েল (সম্পাদক)

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ